প্রযুক্তির দুনিয়ায় তুলনামূলক একটি নতুন শব্দ ‘হিউম্যান-ক্লাউড’। ক্রমবর্ধমান অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং প্ল্যাটফর্ম বোঝাতে সাধারণত এই প্রত্যয়টির ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এসব অনলাইন মার্কেটপ্লেসে একদিকে যেমন কাজে পারদর্শী অসংখ্য মানুষ থাকে অন্য দিকে থাকে যারা কাজ করানোর জন্য লোক প্রয়োজন তারা থাকেন। কাজের প্ল্যাটফর্ম বা মার্কেটপ্লেস অনলাইন বা ক্লাউড ভিত্তিক হবার কারণে ২ পক্ষের মানুষ- লোক নিয়োগ থেকে শুরু করে, কাজের ব্যবস্থাপনা, পর্যবেক্ষণ, তদারকি, কাজ করা, এমনকি কাজের পারিশ্রমিক লেনদেন সহ কাজের সব পর্যায় পৃথিবীর যেকোন স্থানে থেকেই অনলাইনে সম্পন্ন করতে পারে।
চাহিদা অনুযায়ী নানা ধরনের প্রজেক্টে কাজ করার জন্য দক্ষজনবল এবং কাজ করিয়ে নেয়ার জন্য নিয়োগকর্তা যে ধরনের অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সংযুক্ত হয়ে কাজ সম্পন্ন করে থাকে সেসব প্ল্যাটফর্ম বা মার্কেটপ্লেসকেই Human cloud বলা হয়।
Staffing Industry Analysts (SIA) অনুযায়ী, “A set of work intermediation model, which enables work arrangements to be established and completed (including payments) entirely through a digital or online platform.”
SIA এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালে হিউমান-ক্লাউড মার্কেট প্লেসে বৈশ্বিকভাবে ১২৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি লেনদেন সম্পন্ন হয়েছিল, যা প্রতিনিয়ত ক্রমবর্ধমান। Staffing Industry Analysts এর সমীক্ষা মতে, ক্রমবর্ধমান এই প্রযুক্তিতে প্রতিবছর প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়।