Biotechnology হলো বিজ্ঞানের এমন একটি ক্ষেত্র যা রসায়ন, জীববিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা এবং প্রকৌশলের মতো বিভিন্ন শাখার সমন্বয়ে গঠিত। ফলিত বিজ্ঞানের এই ক্ষেত্রটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কৃষি, পরিবেশ সুরক্ষা, ওষুধশিল্প, খাদ্য শিল্প এবং আরও অনেক কিছুতে এটির প্রয়োগ হচ্ছে এবং এর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে।
Biotechnology বলতে ফলিত বিজ্ঞানের এমন একটি শাখাকে বুজায় যা জীববিজ্ঞান, কোষ প্রযুক্তি ইত্যাদি ব্যবহার করে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, রোগবালাই দমন এবং পরিবেশগত অবক্ষয় মোকাবেলা করে এবং এইসব সমস্যা গুলোর টেকসই সমাধান নিয়ে কাজ করে।
নতুন পণ্য উদ্ভাবন এবং পরিষেবা বিকাশের জন্য, বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের কোষীয় পর্যায়ে পরিবর্তন নিয়ে আসতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, Cellular Culture, Fermentation ইত্যাদি ক্ষেত্রকে সমন্বিত করা হয়, তাকে বায়োটেকনোলজি বা জৈবপ্রযুক্তি বলে।
U.S. National Institutes of Health এর অনুযায়ী,
"the use of biological systems, living organisms, or derivatives thereof to make or modify products or processes for specific use."
বায়োটেকনোলজি বিষয়ে আরোও জানুন:
জৈবপ্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি, খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। জীববিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির শক্তিকে একত্রিত করে, আমরা নতুন পণ্য এবং পরিষেবাগুলি বিকাশ করতে পারি যা সামগ্রিকভাবে সমাজকে উপকৃত করে।
International Rice Research Institute (IRRI) অধিক উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিভিন্ন ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। এর মাঝে ইরি ধান অন্যতম। ধানের এই জাতটি বাংলাদেশ, ফিলিপাইন সহ বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
এশিয়াতে, ক্যান্সার এবং এইচআইভি/এইডসের মতো রোগের জন্য নতুন ভ্যাকসিন এবং থেরাপি তৈরি করতে জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। সাংহাই-ভিত্তিক বায়োটেক কোম্পানি Beigene, একটি প্রতিশ্রুতিশীল নতুন ক্যান্সার চিকিত্সা তৈরি করেছে যা চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়েছে।
কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন এবং থেরাপি তৈরিতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। Moderna এবং Pfizer সহ বেশ কয়েকটি বায়োটেক কোম্পানি mRNA-ভিত্তিক ভ্যাকসিন তৈরি করেছে যেগুলি COVID-19 প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর।