আপনি কি কখনও অদ্ভুত বা ব্যাখ্যাতীত কিছু অনুভব করেছেন? এমন কিছু যা আপনাকে পরকাল বা অশরীরির অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে? আপনার যদি এমনটা হয়ে থাকে তবে আপনি জেনে খুশি হবেন যে আপনি একা নন!
সারা বিশ্বের মানুষ প্যারানরমাল দ্বারা আকৃষ্ট হয়েছে এবং অশরীরির অস্তিত্ব প্রমাণ বা অস্বীকার করার চেষ্টা করেছে। এই চেষ্টা থেকেই এসেছে Ghost Hunting এর প্রচলন। Ghost Hunting প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেশন নামেও পরিচিত।
Ghost Hunting হচ্ছে অশরীরির অস্তিত্ব প্রমাণ, তদন্ত কিংবা অস্বিকার করার জন্য, ভূত বা অতিপ্রাকৃত কিছু দেখা গিয়েছে কিংবা ব্যাখ্যাতীত কিছু ঘটেছে এমন জায়গায় অনুসন্ধান করার প্রক্রিয়া।
Fandom dot com অনুসারে,
“a profession or hobby where people use different methods to snuff out sources of ghosts.”
যুগের পর যুগ মানুষ অলৌকিকের সন্ধানে ছুটেছে। কিন্তু সেই অলৌকিকতার নাগাল কেও পায় নি। অনেকেই অনেক সময় কিছু প্রমাণ জড়ো করেছেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু আত্মা বা ভুত প্রমাণের মতো অকাট্য প্রমাণ নেই কারো কাছেই।
Ghost-hunting এর বিভিন্ন প্রকার রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
Ghost-hunting এ সাধারণত ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
Ghost-hunting একটি আকর্ষণীয় এবং বিতর্কিত বিষয়। যদিও কিছু লোক ভূতের অস্তিত্ব এবং অলৌকিক কার্যকলাপে বিশ্বাস করে, তবে বেশির ভাগই এতে সন্দিহান রয়েছে। তবে Ghost-hunting এর জনপ্রিয়তা এবং অলৌকিক তদন্তকারীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা এটাই জানান দেয় অতিপ্রাকৃত এর ব্যাপারটাই মানুষকে মুগ্ধ করে। ভূতে বিশ্বাস থাকুক অথবা নাই বা থাকুক Ghost-hunting একটি উত্তেজনাপূর্ণ এবং রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হতে পারে।
Ghost-hunting এর অনেক বিখ্যাত বাস্তব জীবনের উদাহরণ রয়েছে।
সবচেয়ে বিখ্যাত উদাহরণগুলির মধ্যে একটি হল অ্যামিটিভিল হাউজের তদন্ত। ১৯৭৪ সালে, Ronald DeFeo Jr. তার পরিবারের ছয় সদস্যকে এই বাড়িতে হত্যা করে। এর পরে অনেকেই এই বাড়িতে প্যারানরমাল ঘটনার মুখোমুখি হয়। অ্যামিটিভিল হাউজের কাহিনি বিভিন্ন বই, চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন শো কে অনুপ্রাণিত করেছে।
২০১৩ সালে, একটি দল কলোরাডোর স্ট্যানলি হোটেলে তদন্ত করেছিল। হোটেলটি স্টিফেন কিংয়ের উপন্যাস "দ্য শাইনিং"কে অনুপ্রাণিত করার জন্য বিখ্যাত। দলটি এমন একটি অডিও রেকর্ডিং ধারণ করেছিলেন যা তারা একটি ভৌতিক কণ্ঠ বলে দাবি করেছিল ।
বাংলাদেশেও ২০১০ সালে, “ভৌতিস্ট” নামের একটি Ghost Hunting রিয়ালিটি শো চালু হয়। যার মুল লক্ষ্য ছিলো লোকমুখে শোনা পুরানো বাড়ি, শ্মশানঘাটের বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা যাচাই করে দেখা।