Circular Economy বা বৃত্তাকার অর্থনীতি ২০১০ এর পরবর্তী বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য মনোযোগ অর্জন করেছে। এর মূল কারণ হলো বিশ্ব এখন জলবায়ু পরিবর্তন, খণিজ সম্পদ হ্রাস এবং পরিবেশ দূষণের মতো চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি।
বৃত্তাকার অর্থনীতির লক্ষ্য এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করা যা সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং বর্জ্য ও দূষণ কমাতে সাহায্য করবে। এর আরো একটি লক্ষ্য হচ্ছে অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।
Circular Economy হচ্ছে এমন একটি অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া যা একটি চক্রাকার সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও বণ্টন কাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার, পুনর্বণ্টন, পুনউৎপাদন নিশ্চিত করে এবং বর্জ্য উৎপাদনের পরিমাণ কমিয়ে নিয়ে আসে।
একটি ব্যবসায়িক মডেল যা বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর পুনঃব্যবহার, মেরামত এবং রিসাইক্লিংকে সমর্থন করে এবং প্রতিনয়ত উদ্ভাবনীর মাধ্যমে সম্পদের অপ্রতুলতাজনিত সমস্যার সমাধান করে, তাকে Circular Economy বলা হয়।
Circular Economy হচ্ছে একটি টেকসই বৃত্তাকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যা বর্জ্য ও দূষণ রোধ করতে, গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে এবং প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত হয়েছে।
এই অর্থনীতির অন্যতম প্রবর্তক Ellen McArthur Foundation এর মতে,
“an economic system that is restorative and regenerative by design, and aims to keep products, components, and materials at their highest utility and value at all times.”
Circular Economy তিনটি মূলনীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে:
বৃত্তাকার অর্থনীতি মডেলটি কৃষি, শক্তি, নির্মাণ এবং বিভিন্ন উত্পাদন শিল্পের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যেতে পারে। এতে বিভিন্ন উদ্ভাবনী সমাধান জড়িত যেমন স্থায়িত্ব, মেরামত যোগ্যতা এবং পুনর্ব্যবহার যোগ্যতা।
একটি বৃত্তাকার অর্থনীতির লক্ষ্য হলো অপচয় কমানো এবং যতদিন সম্ভব সম্পদ ব্যবহার করা। এটি প্রথাগত "গ্রহণ, ব্যবহার, ফেলা দেওয়া" এই রৈখিক পদ্ধতির পরিবর্তে পুনর্ব্যবহার এবং পুনঃউৎপাদনের কথা মাথায় রেখে পণ্য এবং প্রক্রিয়াগুলি ডিজাইন করে থাকে।
ক্রমবর্ধমান পরিবেশগত এবং সামাজিক চ্যালেঞ্জগুলির প্রতিক্রিয়া, যেমন সম্পদের হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈষম্য ইত্যাদি মোকাবেলা করার পরিকল্পনা তৈরি করার একটি পদ্ধতি এই বৃত্তাকার অর্থনীতি যা আমাদের পরিবেশের জন্য মঙ্গলজনক প্রমাণ হতে পারে।
বিভিন্ন ধরনের বৃত্তাকার অর্থনীতি মডেল রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
কেনিয়ার কোম্পানি, Takataka solutions, ব্যক্তিগতএবং ব্যবসা দ্বারা উৎপন্ন বর্জ্য সংগ্রহ করে এবং তা কম্পোস্ট এবং অন্যান্য পণ্যে রূপান্তর করে। কোম্পানিটি দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং বর্জ্য উৎপাদনের হার ব্যাপকভাবে কমিয়ে এনেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার Seoul Municipality একটি Zero Waste নীতি বাস্তবায়ন করেছে, যার মধ্যে পুনর্ব্যবহার, কম্পোস্টিং এবং বর্জ্য কমানোর ব্যবস্থা রয়েছে। শহরটি 2040 সালের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ বৃত্তাকার অর্থনীতি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
Grameen Shakti হল একটি বাংলাদেশি সংস্থা যা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে নবায়নযোগ্য শক্তির সমাধান প্রদান করে। তারা সৌর প্যানেল ডিজাইন করে একটি বৃত্তাকার অর্থনীতি মডেল বাস্তবায়ন করেছে।