লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ভূপৃষ্ঠের ভেতর চাপা পড়ে থাকা জীবাশ্ম প্রাকৃতিকভাবে ক্ষয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উচ্চ কার্বন ঘনত্ব সমৃদ্ধ জ্বালানীতে পরিনত হয়ে থাকে।
এসব জ্বালানী মূলত ৩টি আকারে ভূপৃষ্ঠ থেকে পাওয়া যায়।
ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ায় ভূপৃষ্ঠের ভেতরে জীবাশ্ম থেকে উৎপন্ন হওয়া উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কার্বণ নির্ভর জ্বালানীকে জীবাশ্ম জ্বালানী বা fossil fuel বলা হয়।
অক্সফোর্ড ডিকশনারি অনুযায়ী, "a natural fuel formed from the remains of living organisms in the geological process."
এধরনের জ্বালানী অধিকমাত্রায় শক্তি সরবরাহ করতে পারে বলে, এর ব্যবহার বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে যানবাহনে সবক্ষেত্রেই এটি বহুল ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এসব জ্বালানীতে কার্বন ঘনত্ব বেশি থাকার কারণে,এসব জ্বালানীর ব্যবহার বায়ুমন্ডলে অধিক মাত্রায় কার্বন নিঃসরণ করে; কার্বনডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, মিথেন সহ নানা ধরনের গ্রিনহাউজ গ্যাস তৈরি করতে ভূমিকা রাখে। যা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে তরান্বিত করে থাকে।