কোন প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে নানা কারনেই ঘাটতির সম্মুখীন হতে পারে। এক্ষেত্রে সেই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতির কারন এবং সেই ঘাটতির পরিমান নিয়ে ব্যালেন্স শিট তৈরি করা হয়ে থাকে। এই ব্যালেন্স শিট বা রিপোর্টে প্রতিষ্ঠানের মোট সম্পদের মূল্যের সাথে ঘাটতি সম্বলিত রিপোর্ট তৈরি করা হয়।
মূলত প্রতিষ্ঠানের আর্থিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার জন্য ঘাটতির কার্যকারন উল্লেখ করে তৈরি করা ব্যালেন্স শিট বা রিপোর্টটিকেই deficiency account বলা হয়।
দূর্বল আর্থিক অবস্থা সম্বলিত কোন প্রতিষ্ঠানের মোট সম্পদের মূল্য, ঘাটতিকৃত অর্থের পরিমান এবং ঘাটতির কারন সম্বলিত যে রিপোর্ট বা ব্যালেন্স শিট তৈরি করা হয়, সেটিকেই Deficiency account বলা হয়ে থাকে।
কলিন্স ডিকশনারি অনুযায়ী, “An account that summarizes the financial condition of an individual or company which is in danger of bankruptcy.”
পাওনাদারের প্রাপ্য অর্থের পরিমান যদি সম্পদের মূল্যের তুলনায় অনেক কম হয় তবে প্রতিষ্ঠানটিকে ১ বছরের একটি নোটিশ দেয়া হয়, এই সময়ের মাঝে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে এই ঘাটতি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব না হলে নিজেকে দেওলিয়া ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। যার অর্থ, ঐ নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দেনা পরিশোধ করা সম্ভব না।