Carbon Footprint এমন একটি শব্দ যা একবিংশ শতকে ক্রমশ সাধারণ ও পরিচিত হয়ে উঠছে। পরিবেশ বিপর্যয় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে Carbon Footprint সম্পর্কে ধারণা থাকা অপরিহার্য হয়ে উঠছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা যা আমাদের পরিবেশের উপর মানুষের কার্যকলাপের প্রভাব বুঝতে সাহায্য করে।
কোনো ব্যক্তি, পণ্য বা প্রতিষ্ঠান প্রতি বছর বায়ুমণ্ডলে যে পরিমাণ গ্রিন হাইজ গ্যাস নির্গমন করে, তার মোট পরিমাণকে সেই ব্যক্তি, পণ্য বা প্রতিষ্ঠান এর Carbon Footprint বলা হয়। এটিকে সাধারণত carbon dioxide equivalents (CO2e) একক দ্বারা পরিমাপ করা হয়।
Carbon Footprint হলো প্রতিবছর বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের দৈনন্দিন ও উৎপাদনশীল কাজের মাধ্যমে যে পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড সহ অন্যান্য গ্রিন হাউজ গ্যাস প্রকৃতিতে নির্গমন করে, তার মোট পরিমাণ।
আরো সহজ করে বলতে হলে,
মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে প্রতিবছর যে পরিমাণ গ্রিনহাউজ গ্যাস পরিবেশে মুক্ত হয় তার মোট পরিমাণ।
Environmental Protection Agency (EPA) এর ভাষ্যমতে,
"the total amount of greenhouse gases that are emitted into the atmosphere each year by a person, family, building, organization, or company."
Carbon Footprint সম্পর্কে ধারণা থাকা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সরাসরি যুক্ত। বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাস (কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রিক অক্সাইড, CFC ইত্যাদি)
এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং অন্যান্য পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ দেখা দিচ্ছে। Carbon Footprint হ্রাস করে, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলি প্রশমিত করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গ্রহটিকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারি।
কার্বন ফুটপ্রিন্ট ব্যক্তিগত পর্যায়ের বিভিন্ন কাজের মাধ্যমেও কমানো যেতে পারে। এমন অনেক উপায়ের মধ্যে রয়েছে:
World Wildlife Fund (WWF) অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর এক একজন ব্যক্তির Carbon Footprint গড় প্রায় ১৬ মেট্রিক টন, যেখানে বিশ্বব্যাপী গড় প্রতিবছর প্রায় ৪ মেট্রিক টন।
অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় সাব-সাহারান আফ্রিকার ব্যক্তিদের কার্বন পদচিহ্ন তুলনামূলক ভাবে কম। কিন্তু জাতিসংঘের মতে, আফ্রিকা জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলির একটি।
ভুটান বিশ্বের একমাত্র কার্বন নেগেটিভ দেশ। এর অর্থ হলো ভুটান যে পরিমাণ গ্রিন হাইজ গ্যাস তৈরি করে, তার থেকে বেশি এটি শোষণ করে।