NFT এর পূর্ণ রূপ Non-fungible Token। অর্থনীতির ভাষায় non-fungible বলতে এমন কিছুকে বোঝায় যার বিশেষ বা অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে বিনিময়যোগ্য হয়ে উঠে না।
Non-fungible বস্তুর অন্যতম উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলঃ সিনেমার টিকেট
এই টিকেট একটি নির্দিষ্ট সিনেমার, নির্দিষ্ট একটি দিনের, একটি নির্দিষ্ট শো এর টিকেট। এটি ব্যবহৃত না হলেও নির্দিষ্ট শো ব্যতিত অন্য সময়ে এটিকে অন্য কিছু দিয়ে বিনিময় করা সম্ভব হবে না।
ইউনিক বা অনন্য বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন বস্তুটি হতে পারে যেকোনো চিত্রকলা, ছবি, ভিডিও, গান, সুর, লেখা সহ যেকোনো ধরনের ডিজিটাল আর্ট-কন্টেন্ট, এবং সংগ্রহযোগ্য যেকোনো কিছু। এধরনের প্রতিটি বস্তুর কেবলমাত্র একজন করেই মালিক থাকতে পারে, আর এই মালিকানা সংক্রান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করে থাকে non-fungible token। এই টোকেনগুলো নিজেরাও অনন্য, প্রতিটি টোকেনে আলাদা আলাদা ডিজিটাল স্বাক্ষর থাকার কারণে কোনো ২ টি NFT কখনো এক হয় না।
অনন্য বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন এবং বিনিময়যোগ্য নয় এমন যেকোনো কিছুর মালিকানা নিশ্চিত করার জন্য যে ধরনের ব্লকচেইন প্রযুক্তিসম্পন্ন ডিজিটাল টোকেন ব্যবহার করা হয় সেটিকেই Non-fungible Token বা NFT বলা হয়।
Ethereum dot org অনুযায়ী, “Tokens that can be used to represent the ownership of unique items.”
ব্লকচেইন এবং ক্রিপ্টোগ্রাফি সমৃদ্ধ NFT’র মালিকানা সংক্রান্ত তথ্যের নথির সংশোধন, পরিবর্তন কিংবা কপি-পেস্ট অসম্ভব। ফলে সেই অনন্য বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন বিষয় বা বস্তুটির মালিকানা নিরাপদ থাকে।
NFT- ব্লকচেইন এবং ক্রিপটোগ্রাফির মতো প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি হলেও এটি বিটকয়েন, ইথেরিয়ামের মতো অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো অর্থের সাহায্যে বিনিময়যোগ্য নয় বলে এটি Non-fungible token হিসেবে কাজ করে।