আয় করা সম্ভব এমন কোনো সম্পদে বিনিয়োগের ফলে, সেই সম্পদটি থেকে যা আয় করা সম্ভব হয় তার থেকে যদি সেই সম্পদে খরচ বা ব্যয় বেশি হয়। সেক্ষেত্রে আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির জন্য একটি পরিচিত বিনিয়োগ চর্চা হল নেগেটিভ গিয়ারিং।
নির্দিষ্ট কোন সম্পদে বিনিয়োগের ফলে যদি সেই সম্পদ থেকে আয়কৃত অর্থ সেই সম্পদ বাবদ খরচের থেকেও কম হয়, অর্থাৎ সেই সম্পদ থেকে করা আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি থাকে। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীর সেই সম্পদে লোকশান দেখিয়ে ট্যাক্স বা রাজস্ব প্রদানের ক্ষেত্রে সেই ঘাটতি বা লোকশান মওকুফ করার একটি বিনিয়োগ কৌশল হল Negative Gearing.
অক্সফোর্ড ডিকশনারি অনুযায়ী, “The practice of investing borrowed money in order to make a loss which can be used to lower the amount of tax paid later.”
Real-Life Example
ভাড়া দেওয়ার জন্য কোনো ফ্ল্যাট কেনা হলে, সেই ফ্ল্যাট থেকে ভাড়া বাবদ টাকা যদি সেই ফ্ল্যাট বাবদ লোন, সুদ, রক্ষনাবেক্ষন বাবদ খরচ সহ যাবতীয় সব ধরনের খরচ তুলতে না পারে তবে সেই ফ্ল্যাটটি হবে নেগেটিভ গিয়ার্ড সম্পদ। সেক্ষেত্রে এই ফ্ল্যাট এ বিনিয়োগকারী লোকশানে থাকা অর্থ রাজস্ব বা ট্যাক্স প্রদানের সময় মওকুফ হিসেবে পাবেন। অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানী, সুইডেন বা আমেরিকা সহ কিছু দেশে নিয়ম মেনে নেগেটিভ গিয়ারিং এর ফলে রাজস্ব মওকুফের সুবিধা দিয়ে থাকে।