গত কয়েক বছরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) প্রযুক্তি দ্রুত থেকে দ্রুততর উন্নতি করছে এবং ChatGPT এই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরী একটি সফল এবং জনপ্রিয় টুল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে AI Technology জগতে DeepSeek আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে যা একটি শক্তিশালী AI প্ল্যাটফর্ম বা টুল। এটিও চ্যাটজিপিটির মতো আধুনিক অনুসন্ধান ও তথ্য বিশ্লেষণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
DeepSeek একটি উন্নত AI-ভিত্তিক টুল, যা ডিপ লার্নিং (Deep Learning) এবং ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং (NLP) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি। এটি ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, ডেটা বিশ্লেষণ করা, সমস্যা সমাধান করা এবং এমনকি সৃজনশীল কাজেও সাহায্য করতে পারে।
DeepSeek এর মূল লক্ষ্য হলো ব্যবহারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত এবং সঠিক তথ্য প্রদান করা।
ডিপসিকের কাজ করার পদ্ধতি বেশ জটিল কিন্তু কার্যকর। এটি নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করে:
ডেটা সংগ্রহ: ডিপসিক ইন্টারনেট, বই, গবেষণাপত্র এবং অন্যান্য উৎস থেকে বিপুল পরিমাণ ডেটা সংগ্রহ করে।
প্রশিক্ষণ: এই ডেটা ব্যবহার করে ডিপ লার্নিং মডেলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যাতে এটি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং সমস্যা সমাধান করতে পারে।
ব্যবহারকারীর ইনপুট প্রসেসিং: যখন একজন ব্যবহারকারী কোনো প্রশ্ন করেন বা নির্দেশ দেন, এটি সেই ইনপুট বিশ্লেষণ করে এবং প্রাসঙ্গিক উত্তর তৈরি করে।
আউটপুট প্রদান: সবশেষে, এটি ব্যবহারকারীর কাছে সহজবোধ্য ভাষায় উত্তর বা সমাধান উপস্থাপন করে।
DeepSeek এবং চ্যাটজিপিটি উভয়ই AI-ভিত্তিক টুল, তবে তাদের মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে:
DeepSeek AI প্রযুক্তির জগতে নতুন সংযোজন হলেও এটির জনপ্রিয়তা মূলত ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে। এটি চ্যাটজিপিটির প্রতিযোগী হিসেবে আবির্ভূত যা খুবই সাশ্রয়ী এবং অল্প পরিমাণ রিসোর্স ব্যবহার করে চ্যাটজিপিটির মতো আউটপুট দিতে সক্ষম।
এটির সম্প্রতি ট্রেন্ডিং হওয়ার আরো বেশ কিছু কারণ:
ডিপসিক AI প্রযুক্তির জগতে একটি নতুন সংযোজন, যা ব্যবহারকারীদের জন্য আরও উন্নত এবং দক্ষ সমাধান নিয়ে এসেছে। চ্যাটজিপিটির মতো জনপ্রিয় টুলের সাথে প্রতিযোগিতা করলেও ডিপসিকের বিশেষায়িত ক্ষমতা এবং নতুনত্ব এটিকে আলাদা করে তুলেছে। ভবিষ্যতে ডিপসিক কীভাবে AI প্রযুক্তির জগতে আরও অবদান রাখে, তা দেখার জন্য আমরা সবাই উৎসুক।