ঘুমানোর সময় দেহের পেশি শিথিল হয়ে যায়। গলা ও ঘাড়ের পেশি শিথিল হলে শ্বাসনালীতে চাপ বাড়ে। ফলে অনেকের শ্বাসনালী আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকে। তখনই ঘটে ঘুমের ব্যাঘাত। বারবার ঘুম বিঘ্নিত হওয়ায় শরীর প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পায় না।
ঘুমের সময় শ্বাসনালী শিথিল জনিত কারণ সহ নানা কারণে বাঁধা সৃষ্টি হলে শ্বাস নিতে নাক ডাকার শব্দ হয়, এমনকি কিছু সময়ের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস থেমে যেতে পারে। এই ঘটনাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় স্লিপ এপ্নিয়া (sleep apnoea) বলা হয়।
English definition:
ক্যামব্রিজ ডিকশনারি অনুযায়ী, “a medical condition in which someone stops breathing for a short time when sleeping.”
অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার অন্যতম উপসর্গ নাক ডাকা। এভাবে ব্যাঘাত প্রাপ্ত ঘুমের ফলে ঘুম থেকে উঠেও ক্লান্তি ভাব থেকে যায়। কাজের জায়গায় ঘুমিয়ে পড়া, কাজে গোলমাল হওয়া, ভুলে যাওয়া, মাথা ধরা, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়াও স্লিপ অ্যাপনিয়ার উপসর্গ।
সম্প্রতি ২৫টি শহরের ৫৬০০ জনকে নিয়ে করা এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৯৩ শতাংশ মানুষ কম ঘুম হওয়ার সমস্যায় ভুগছেন। ১১ শতাংশ মানুষ কাজের জায়গায় ঘুমিয়ে পড়ছেন। আর ঘুমের অভাবে ৮৭ শতাংশের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞেদের মতে, স্লিপ ডিসঅর্ডারের ঘটনা বাড়ছে। এর মধ্যে অন্যতম হল অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (ওএসএ)।
In a sentence: