সমাজবিজ্ঞানের পরিধিতে একজন মানুষের শিক্ষা, মেধা, ভাষাশৈলী সহ সার্বিক সামাজিক সম্পদকে ‘কালচারাল ক্যাপিটাল’ বলা হয়। সমাজিক স্তরবিন্যাসে যা কিনা একপ্রকার সামাজিক গতিশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
কালচারাল ক্যাপিটাল ধারণাটির অন্যতম প্রণেতা পিয়েরে বোর্দিউ এর মতে, সামাজিক বৈষম্য তৈরীতে একজন মানুষের কালচারাল ক্যাপিটাল বা সামাজিক সম্পদ প্রধান ভূমিকা পালন করে।
Definition 1:
যেসব দক্ষতা আমাদের সামাজিকভাবে সক্রিয় বা তৎপর করে, একজন মানুষের সামাজিক সম্পদ হিসেবে কাজ করে সেগুলোই Cultural capital।
একজন মানুষের শিক্ষা, ব্যবহার, মেধা, ভাষাশৈলী, বক্তৃতা-শৈলী সহ নানাবিধ সামাজিক সম্পদকে কোনো মানুষের আয়, মোট সম্পত্তি কিংবা কোনো প্রকার আর্থিক মানদণ্ডে নিরূপণ করা যায় না। কালচারাল ক্যাপিটাল অর্থের মানদন্ডে হিসাব করা সম্ভব নয়, তবে অর্থের মাধ্যমে বিনিময়যোগ্য। আবার অর্থ এই সামাজিক সম্পদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
যেমনঃ উচ্চশিক্ষা অর্জন করলে সামাজিকভাবে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়, ভালো জায়গায় কাজ করার সুযোগ হয়। অর্থাৎ জীবনমানে উন্নতি সাধিত হয়। এক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা অর্জনে অর্থ প্রয়োজন হলে এক্ষেত্রে সেটি বিনিয়োগ, যা কিনা সামাজিক সম্পদ হিসেবে ‘শিক্ষা/উচ্চশিক্ষা’ অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
পিয়েরে বোর্দিউ এবং জেন-ক্লড পাসার্সন ১৯৭৭ সালে লেখা "Cultural Reproduction and Social Reproduction" বইটিতে সর্বপ্রথম কালচারাল ক্যাপিটালের ধারণাটি দেন। বোর্দিউ কালচারাল ক্যাপিটালকে ‘ব্যাক্তির শিক্ষা’ (জ্ঞান ও বুদ্ধিগত দক্ষতা) হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং উচ্চতর সামাজিক-মর্যাদা অর্জন করতে এটি সুবিধা প্রদান করে বলেও তিনি এটিকে ব্যাখ্যা করেন।
In a sentence:
- Cultural capital can be converted to other kinds of capital such as social capital.